সিডনিতে ‘কিত্তনখোলা’র শিল্পীদের মিলনমেলায় প্রাণের উচ্ছ্বাস

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : বাংলা নাটকের শাশ্বত ধারা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে প্রবাসেও ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত হলো জনপ্রিয় মঞ্চনাটক ‘কিত্তনখোলা’র পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান।

 

শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় মিন্টো এলাকার ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ির খোলা প্রাঙ্গণে এ আয়োজনে নাট্যপ্রেমীদের মিলনমেলায় মুখর হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ। আয়োজনটি করে সিডনির নাট্যসংগঠন ‘সখের থিয়েটার’।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশে মাইলস্টোন স্কুলে সংঘটিত মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহত ও আহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর শাকিল চৌধুরীর প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় শুরু হয় সন্ধ্যার মূল আয়োজন।

 

নাটকের পরিচালক ও সংগঠক শাহীন শাহনেয়াজ দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ‘কিত্তনখোলা’র কলাকুশলীদের। শিল্পীরা— শাওন, সাজু, হিল্লোল, ফয়সাল, মেহেদী, জাকির, শিরীন, আফসানা ও সায়েম—শেয়ার করেন তাদের স্মৃতিময় অভিজ্ঞতা, রিহার্সালের নানা ঘটনা এবং মঞ্চে উঠে আসা আনন্দ-বেদনার মুহূর্ত।

 

আলোচনায় অংশ নেন সিডনির সংস্কৃতিজগতে সুপরিচিত মুখ শেখ শামিম, নেহাল নিয়ামুল বারী ও সিরাজুস সালেকিন। তারা নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের নাট্যদর্শন ও নাটকের অন্তর্নিহিত দর্শন নিয়ে মূল্যায়ন তুলে ধরেন এবং প্রবাসে নাট্যচর্চার গুরুত্বের কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ক্যান্টরব্যারি ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিলর শিরিন আক্তার মুন্নীকে ফুল দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।

 

‘কিত্তনখোলা’র এই পুনঃপ্রযোজনা এবং পুনর্মিলনী ছিল প্রবাসে নাট্যআন্দোলনের এক সাহসী ও অনুপ্রেরণাদায়ী পদক্ষেপ। শাহীন শাহনেয়াজ বলেন, “এই মিলনমেলা শুধু একটি নাটকের স্মরণ নয়, বরং বাংলা নাটকের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের প্রকাশ। আমরা ভবিষ্যতে আরও নাট্য প্রযোজনা ও নাট্যশিক্ষামূলক উদ্যোগ নেবো।

 

অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় উঠে আসে বাংলা সংস্কৃতির উজ্জ্বল রূপ। অতিথিদের উপস্থিতিতে কাটা হয় কেক, পরে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।  সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ক্ষমতার লোভে একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আওয়ামী লীগ – ড. মঈন খান

» সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ডাকসুতে বিজয়ী হবে ছাত্রদল : রিজভী

» শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আটজন গ্রেপ্তার

» নির্বাচনের আগে ২ হাজার এএসআই নিয়োগ, ২ হাজার জনকে পদোন্নতি : আইজিপি

» নুরের ওপর হামলা প্রমাণ করে হাসিনা ও তার দোসররা এখনও সক্রিয়: দুদু

» বিএনপি ও জামায়েত মিলে অন্তর্বর্তী সরকার চালাচ্ছে: সামান্তা শারমিন

» জুলাই গণহত্যা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়কার বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের তথ্য তুলে ধরলেন সারজিস

» সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ ২২ আসামির ভার্চুয়ালি হাজিরা গ্রহণ

» কিশোর-কিশোরীদের জন্য মেটার এআই চ্যাটবট নীতিতে পরিবর্তন

» পর্তুগালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সিডনিতে ‘কিত্তনখোলা’র শিল্পীদের মিলনমেলায় প্রাণের উচ্ছ্বাস

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : বাংলা নাটকের শাশ্বত ধারা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে প্রবাসেও ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত হলো জনপ্রিয় মঞ্চনাটক ‘কিত্তনখোলা’র পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান।

 

শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় মিন্টো এলাকার ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ির খোলা প্রাঙ্গণে এ আয়োজনে নাট্যপ্রেমীদের মিলনমেলায় মুখর হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ। আয়োজনটি করে সিডনির নাট্যসংগঠন ‘সখের থিয়েটার’।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশে মাইলস্টোন স্কুলে সংঘটিত মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহত ও আহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর শাকিল চৌধুরীর প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় শুরু হয় সন্ধ্যার মূল আয়োজন।

 

নাটকের পরিচালক ও সংগঠক শাহীন শাহনেয়াজ দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ‘কিত্তনখোলা’র কলাকুশলীদের। শিল্পীরা— শাওন, সাজু, হিল্লোল, ফয়সাল, মেহেদী, জাকির, শিরীন, আফসানা ও সায়েম—শেয়ার করেন তাদের স্মৃতিময় অভিজ্ঞতা, রিহার্সালের নানা ঘটনা এবং মঞ্চে উঠে আসা আনন্দ-বেদনার মুহূর্ত।

 

আলোচনায় অংশ নেন সিডনির সংস্কৃতিজগতে সুপরিচিত মুখ শেখ শামিম, নেহাল নিয়ামুল বারী ও সিরাজুস সালেকিন। তারা নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের নাট্যদর্শন ও নাটকের অন্তর্নিহিত দর্শন নিয়ে মূল্যায়ন তুলে ধরেন এবং প্রবাসে নাট্যচর্চার গুরুত্বের কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ক্যান্টরব্যারি ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিলর শিরিন আক্তার মুন্নীকে ফুল দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।

 

‘কিত্তনখোলা’র এই পুনঃপ্রযোজনা এবং পুনর্মিলনী ছিল প্রবাসে নাট্যআন্দোলনের এক সাহসী ও অনুপ্রেরণাদায়ী পদক্ষেপ। শাহীন শাহনেয়াজ বলেন, “এই মিলনমেলা শুধু একটি নাটকের স্মরণ নয়, বরং বাংলা নাটকের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের প্রকাশ। আমরা ভবিষ্যতে আরও নাট্য প্রযোজনা ও নাট্যশিক্ষামূলক উদ্যোগ নেবো।

 

অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় উঠে আসে বাংলা সংস্কৃতির উজ্জ্বল রূপ। অতিথিদের উপস্থিতিতে কাটা হয় কেক, পরে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।  সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com